জীবনবাহী গাড়ি

তুমি একজন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রী ।তুমি নামবে সেখানেই,যেখানে ট্রেন থামবেসেই ট্রেনে থাকবে অনেকসহযাত্রী ।তাদের কারো সাথে ঘটবেএক আত্মিক যোগ।কিছু মানুষকে দূর হতে দেখবে,আলাপ হয়তো হবেনা।কেউ অন্তরঙ্গ ভাবে মিশবে,কেউ বা সর্থেই পাশে বসবে।কারো সাথে অন্তরঙ্গতা এতটাই তুঙ্গে পৌঁছাবে,যেনো সে বহু দিনের আপন। তারপর ধীরে ধীরে একে একে সহযাত্রীরানেমে যাবে নিজেদের স্টেশনে ।সার্থান্যেশি যাত্রীটি আগেই সরে পড়বে।কেউ

এপার থেকে ওপার

মনে করো আমার সাথে একটা বিকেলরঙিন প্রজাপতি বসবে আবার বাগান জুড়ে,মনে করো চায়ের কাপে জমবে প্রহরআকাশ কুসুম পড়ুক না সে ঝরে ঝরে; জানি, সেই বিছানায় ঘুম আসেনা,সঙ্গী কেবল রাতের তারা,গাল ফুলিয়ে অভিমানে,হঠাৎ যদি দেয় সারা! জানি, সেই থালাটা আছে রাখা,ধুলো মাখা আবর্জনায়,বহুদিন হয়নি দেখা ভোর,একসাথে পূবের জানলায়। আমার রেখে আসা গয়না, শাড়ি,ট্রাঙ্কে বোঝাই থাকবে জানি,তোমার

তাকে প্রশ্ন করোনা

তাকে প্রশ্ন করোনা জানি সে বড্ড বেমানান আজ তোমাদের ভিড়ে। শান্ত দুপুর,দুরন্ত বাতাস,শুকনো গোলাপ আরএকটা স্তব্ধ ঘন কালো কাজল চোখের কোনে মেঘ জমেছে তার।সে মেঘ শধুই গর্জে ওঠে, সেখানে বর্ষণ হয়না বহুদিন ।যেন কোনো এক অজ্ঞাত কারনে বৃষ্টি ভুলে গেছে বর্ষণের কথা। নাইবা হল সে তোমার মতন,নাইবা হল তোমার প্রিয়।তবু তার অন্তর্জাত স্নিগ্ধতাকে তুমি চিনতে

শুধুবৃষ্টির জন্য

শুধুবৃষ্টির জন্য বৃষ্টি তুমি ঝড়ছো আজরিমঝিম সারা বেলা,Coffee cup আর headphoneজানলা গুলো খোলা। বৃষ্টি তুমি ঝোড়ো হাওয়ায়ভিজিয়ে দিলে আমায়,ডুবেছি আমি আজ,অজানা কোনো নেশায়। আজ বড্ড মনে পরে,সেই বৃষ্টির কথা।যে বৃষ্টি সাক্ষী ছিলবহু সুখ দুঃখ ব‍্যথা। সেই বৃষ্টি পড়ার ব‍্যাচ এর ,খুনসুটি প্রতিদিন।সেই বৃষ্টি মুষলধারেস্কুলের ক‍্যান্টিন। সেই বৃষ্টির সাথে সেই,অট্টোহাসির দিন।সেই বৃষ্টি রাখতো কাঁধেআশ্বাস অন্তহীন। তারপর

সংশয়

মনে হলো অনেক যুগ কাটলো ।নোনতা জলে জমেছে আর্সেনিক।শীর্ণ ভিকারি আজও বসে পুরনো আস্তানায়,শুধু আমিই এখন ‘ আলোকবর্ষ দূরে।’ আবেগ বোঝাই অভিমান, পাশে আছির স্পর্শ,সবই ছিল মিছে।মিথ্যে শহরে বলো ঘুম কি কারো আসে?খরস্রোতা দেখেছি, পাহাড় দেখেছি,শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটেছে,তবুও তারা বিশ্বাস ভাঙেনি ।একটা কথাও তারা বলেনি জানি,কিন্তু তার মাঝে স্বচ্ছতা আছে। তবে তারা ক্ষমাও করতে

নারকীয় সমাজ

যদি হঠাৎ একদিন দেখো,নেই, নেই কেউ চারিদিকে।যদি হঠাৎ একদিন দেখোশ্মশান হয়েছে অপরূপ নন্দনকানন।যদি ঘন কুয়াশায় আবছা হয় আপন মানুষ,ধীরে ধীরে চলে যায় দূরে, বহুদূরে । যদি কখনো ঘুম ভেঙ্গে দেখোতোমার যত্নে গরা ফুল ঢেকেছেপৈশাচিক কোনো কীটে,পৃথিবীর সমস্ত শিশু হয়েছে সর্বনাশামানুষ খেকো, অফুরন্ত তাদের ক্ষুধা । যদি এই মর্ত, নরক হয়ে যায়,ক্ষুধার রাজ্যে মানুষ পিশাচ হয়ে

ভেবেছিল সে অনেকটা আলো ছড়িয়ে দেবে

(১) মেঘেরো একটা গল্প ছিল।সে গল্পে একটা ছোট্ট বাড়ি ছিল।সপ্ন ছিল সেই বাড়ির অন্দরেছড়িয়ে দেবে অনেকটা আলো।হোকনা ভাঙ্গা খাট, ছোট্ট টেবিল আর ওই জং ধরা আলমারি।যত্ন করে গুছিয়ে রাখবে।সকাল হলে ভিজে চুলে একটু সোহাগ,দুপুরে থালায় গুছিয়ে পঞ্চব্যঞ্জন। কাজ শেষে দুপুর গড়িয়ে যাবে,পরন্ত রোদে তখন সে এলিয়ে দেবে চুল।আনমনে ভাববে যত রোজকার হিসাবসূর্য যখন অস্ত যাবেসন্ধ্যাপ্রদীপ

দীপাবলি

রাত যখন অনেকটা বেড়ে যায়,স্বপ্নে সে আসে।স্বপ্নে এসে মায়া চোখে তাকায়,প্রদীপ জ্বেলে বরণ করে,আর খিল খিলিয়ে হাসে নাম জানিনা তার।তবে দেখেছি অনেক বার।গোলাপ? না না রজনীগন্ধা ।বড়ো বড়ো অট্টালিকা হতেনামে রঙিন আলোর জলপ্রপাত।শহর জুড়ে তখন দীপাবলি । সেদিনও তার কপালে বিন্দু বিন্দু জল,ছোট্ট হাতে জড়িয়ে সুগন্ধি মালা নিয়ে,ট্রাফিকের গ্লানিতে যখন তিক্ত অপেক্ষা,তখন তার চোখে একটু

সাগর পানে

যতবার দেখেছি সাগর পানে,সুদূর থেকে হাত মেলেছে কেউ।কে আছে ওই দিগন্তের ওপরে?ঢেকেদিচ্ছে তাকে চঞ্চলময় ঢেউ। তেমনি আমার হৃদয় বালুকাময়,চোরা বালিতে ডুবছি আমি নিজেই।ধরতাম তোমার হাতটা আমি চাইলে,কেবল সেই ইচ্ছেটাই আর নেই।

বিদায়_বেলার_গান

শেষ বেলাতে ছিল শুধু তার সুপ্ত অভিমান, তাই এই প্রহরে রেখে গেলাম, বিদায় বেলার গান। আমার রিক্ত হৃদয় খুঁজে না পায়, কোনো খরকুটোর নাগাল, শেষ বিকেলে সূর্য ডোবে, আজ বৃষ্টির আকাল। সবই যখন শুকিয়ে গেছে অশ্রু জলের সাথে, অতীত ঘেঁটে সুখ খোঁজে মন, নিস্পলক রাতে। স্মৃতির পাতার এক একটা ক্ষন হারিয়ে কেনো যায়? “একবার ধরতে